BAE Principles
“প্রকৌশলী-প্রযুক্তি-উন্নয়ন”
“দেশ ও জাতির উন্নত জীবন”

E-mail: bae.bd@yahoo.com
ফোন: +8809638040011
“প্রকৌশলী-প্রযুক্তি-উন্নয়ন” “দেশ ও জাতির উন্নত জীবন”
স্লোগান কে সামনে রেখে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (বিএই) ১৪টি মূলনীতি ঘোষণা করছে
মূলনীতি সমূহঃ
-
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (বিএই) একটি অলাভজনক, স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠন। এই সংগঠনের সকল প্রকৌশলী বৃন্দ সর্বদা নিজেকে একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবেন। -
সকল স্তরের প্রকৌশলীদের মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করে দেশের সকল প্রকৌশলীদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশ ও দশের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে ভূমিকা রাখা। -
অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত প্রকৌশলী সদস্য কর্তৃক সদ্য পাশ করা বা অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের ভার্চুয়াল বা সরাসরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের যথাযথ সহায়তা করা। -
দেশের বেকার প্রকৌশলীদের জব সহায়তা ইউনিট এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার ও সম্মানজনক বেতন কাঠামো প্রাপ্তিতে সরকারি বা বেসরকারি কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে সহায়তা করা। -
দেশ-বিদেশে সমপর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি বা ইঞ্জিনিয়ার্স ফাউন্ডেশনের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে বিএই' কে দেশ ও বিশ্ববাজারে সুপরিচিত করে তোলা। -
প্রকৌশলীদের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা। তৃণমূলের সকল প্রকৌশলীদের সাথে সমন্বয় সাধন করে বেকার প্রকৌশলীদের সাথে চাকুরীজীবী ও উদ্যোক্তা প্রকৌশলীদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করতে হবে। -
গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্রের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে স্বচ্ছতা এ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে, ভোটে নির্বাচিত নিদিষ্ট মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, বিভিন্ন ইউনিট কমিটি, বিভাগীয় কমিটি, জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা কমিটির প্রতিনিধিদের দ্বারা সংগঠনকে পরিচালনা করা, যেন কোনো সদস্যের সামাজিক বা মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণœ না হয়। যেখানে গণতন্ত্র মূখ্য ভ‚মিকা পালন করবে ও একটি স্বচ্ছ সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। কোনো সদস্য একধারে দুইবারের বেশি একই পদের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। -
প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলীবৃন্দ। সংগঠনের মালিক বলে বিবেচিত হবেন না। সংগঠনের মালিক সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ। প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ শুধুমাত্র সম্মানের জায়গায় সম্মানিত হবেন, অর্থাৎ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ। একটা প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ কমিটি নামে মাত্র থাকবেন আজীবন। কিন্তু মূল ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির হাতে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতি ২ (দুই) বছর অন্তর অন্তর নির্বাচিত হবেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পরিচালনা পর্ষদ, প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের নিকট জবাদিহিতায় থাকবে । -
গঠনতন্ত্র প্রণয়ন বোর্ড, সাংগঠনিক আইন রক্ষা কমিশন সমন্বয়ক বোর্ড, ইলেকশন কমিশন, বাজেট ও অর্থ সমন্বয়ক বোর্ড এর মাধ্যমে সংগঠনের সকল সাংবিধানিক নিয়ম-কানুন স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হবে। -
ডিপ্লোমা, বিএসসি, এমএসসি, প্রকৌশলী সকলেই এই সংগঠনের সাধারণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। -
মাদকমুক্ত সুস্থ সমাজ, সুস্থ মনের জাতি গঠনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রচলিত খেলাধুলায় উৎসাহিত করার সাথে সাথে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যথাসাধ্য সহায়তা প্রদান; বিশেষ করে প্রকৌশলীদের দ্বারা সারাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী সচল রাখা। -
দুর্যোগ বা ক্রান্তিকালীন সময়ে জরুরী ত্রাণ সহায়তা প্রদান সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সেবামূলক কাজে অংশগ্রহন করা। -
নারী ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী মধ্য হতে নতুন প্রকৌশলী তৈরি করার উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানে সহায়তা করা, এছাড়া নারী প্রকৌশলীদের চাকুরি, পড়াশোনা ও সুযোগ সুবিধা বিষয়ে যে কোন সাহায্য সহযোগিতা নারী প্রকৌশলী উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রমের মাধ্যমে সংগঠন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। -
অসুস্থ ও কর্ম অক্ষম প্রকৌশলী সদস্যদের, সংগঠনের সাধ্যের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করার মত পদক্ষেপ হাতে নেওয়া।